Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

At a Glance

আমাদের কথা

 

        গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রায় দুইশত বৎসর পূর্ব হতে বাংলাদেশের ভবন নির্মাণ জগতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের রূলস অব বিজনেস অনুযায়ী অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান সমূহের বিভিন্ন ভবন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনা নির্মাণ কাজে গণপূর্ত অধিদপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত। নির্মাণ খাতে মানদন্ড নির্ধারনে গণপূর্ত অধিদপ্তর দীর্ঘদিন যাবৎ তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের রয়েছে একঝাঁক দক্ষ ও অভিজ্ঞ সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল প্রকৌশলী যারা একই মন্ত্রনালয় ভুক্ত স্থাপত্য অধিদপ্তরের দক্ষ স্থপতিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কল্পনার ভবনটি বাস্তবে রূপদান করে।

 

        গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের ব্যাপ্তি শুধুমাত্র নির্মাণ কাজেই সীমাবদ্ধ নয়। ভবন নির্মাণে গবেষনা ও উন্নয়নে এই অধিদপ্তর বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নির্মাণ কাজের পদ্ধতি ও মান নির্ধারণ(Code of Practice), নির্মাণ কাজের দর তফসিল (Schedule of Rates),ভূমিকম্প সহনীয় প্রকৌশল প্রযুক্তি ( Earth quake Retrofitting Manual), বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রযুক্তি এবং ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। অতিসম্প্রতি জাপানি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় গণপূর্ত অধিপ্তরের মাধ্যমে একটি পাবলিক বিল্ডিং (তেজগাঁও ফায়ার স্টেশন) ও একটি প্রাইভেট বিল্ডিং (ডি.কে গার্মেন্টস) গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ থেকে ভূমিকম্প সহনীয় করা হয়েছে এবং এই ধরনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তর দেশে এই প্রথম ভূমিকম্প সহনীয়বেস আইসোলেটেড বিল্ডিং (মিরপুর ফায়ার সার্ভিস হেড কোয়ার্টাস ভবন) তৈরি করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে যা দেশের নির্মাণ প্রযুক্তিতে একটি মাইলফলক  হয়ে থাকবে। নিয়মিত নির্মাণ কাজের পাশাপাশি গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন বঙ্গভবন, গণভবন, জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সুপ্রীমকোর্ট, সচিবালয় সহ জেলা পর্যায়ের কোর অফিস ও কোয়ার্টারসমূহের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষন করে আসছে।

 

        ভোলা গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অত্র কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা যেমন- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজের কার্যালয়, জেলা কারাগার, ভোলা পুলিশ লাইনের বিভিন্ন ভবন, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় কোর অফিসারদের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, সদর হাসপাতাল ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের চলমান উন্নয়নে মহাযজ্ঞের অংশ হিসেবে ভোলা গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভোলা মডেল থানা, সিআইডি অফিস, জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুম, ভোলা সদরথানা,  দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন, শশীভূষণ, দক্ষিণ আইচা, মনপুরা থানা ভবন ও ভেলুমিয়া, ইলিশা, চরজহিরউদ্দিন, কুকরী মুকরী, ঢালচর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, ভোলা সহ ৭টি ফায়ার ষ্টেশন, মনপুরা ও চরশশীভূষণ ২টি ৫০০ মেট্রিক খাদ্য গুদাম নির্মাণ, সৌদি অনুদানে  দক্ষিণ আইচায় ২০ শয্যা হাসপাতাল নির্মাণ, চরফ্যাশন ও মনপুরা কোর্টভবন নির্মাণ, চরফ্যাশন বিচারকদের জন্য ১০০০ ও ৮০০ বর্গফুট কোয়ার্টার নির্মাণ, জেলা রেজিষ্ট্রি  অফিস  ও ৬টি উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিস নির্মাণ, জেলা আনসার ব্যারাক ও বাসভবন নির্মাণ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ, জেলা সমাজসেবা শিশু পরিবার ৮-ইউনিট হোস্টেল নির্মাণ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন বেইজ ভোলা জেলায় প্রশাসনিক ভবন, নাবিক নিবাস, অফিসার্স মেস, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, পুলিশ অফিসার্স মেস, মহিলা পুলিশ ব্যারাক ও পুরুষ পুলিশ ব্যারাক, চরকুকরী মুকরী রেষ্ট হাউজ, ৪ তলা ভীত বিশিষ্ট ৩ তলা মনপুরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার নির্মাণ,  ভোলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,  জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে শহীদ মুকিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলক, ১০ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ, কর্মকর্তাদের আবাসনের সুবিধার্থে ১২৫০ বর্গফুট কোয়ার্টার, কর্মচারীদের আবাসনের সুবিধার্থে ৮০০ বর্গফুট কোয়ার্টার, সার্ভার ষ্টেশন, জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন শিশু পরিবার বালিকা।

 

        এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে তথা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ সমূহের কাতারে বাংলাদেশকে পৌঁছে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের যে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু করেছেন, সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সেই উন্নয়ন যজ্ঞের কর্মী হিসেবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সদা তৎপর রয়েছে।